আল-আকসায় মুসলিমদের প্রবেশে বাধা, ঢুকছে ইহুদিরা

রোববার অন্তত ৫০ জন ইহুদি দর্শনার্থীকে নিরাপত্তা দিয়ে পূর্ব জেরুজালেমের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ঘুরিয়ে দেখায় ইসরাইলি পুলিশ।
রোববার অন্তত ৫০ জন ইহুদি দর্শনার্থীকে নিরাপত্তা দিয়ে পূর্ব জেরুজালেমের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ঘুরিয়ে দেখায় ইসরাইলি পুলিশ।
মুক্তিবাণী ডেস্ক রিপোর্ট :

আল-আকসায় ইহুদি-খ্রিষ্টান-মুসলিমদের সমান অধিকার থাকলেও এখানে মুসলিমদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে তরুণ ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। 

শুধু তাই নয়, তাদের ওপর নিপীড়নও চালানো হচ্ছে। বিপরীতে ইহুদিদেরকে নিরাপত্তা প্রহরায় পূর্ব জেরুজালেম ভ্রমণে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পূর্ব-জেরুজালেম ও পবিত্র আল-আকসায় দ্বৈত নীতি নিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। ইহুদিদের জন্য এক নীতি, ফিলিস্তিনিদের আরেক। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও সেই একই নীতি অব্যাহত রয়েছে।

আল-আহরাম জানিয়েছে, রোববার অন্তত ৫০ জন ইহুদি দর্শনার্থীকে নিরাপত্তা দিয়ে পূর্ব জেরুজালেমের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ঘুরিয়ে দেখায় ইসরাইলি পুলিশ। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের নানাভাবে হয়রানি করেছে।

আল-আকসার তদারককারী কর্তৃপক্ষ দ্য ওয়াক্ফ বলেছে, আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে বাধার মুখে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি আবেদন করলেও ৪৫ বছরের নিচে কাউকেই মসজিদটিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মসজিদে প্রবেশে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনিদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য আল-আকসায় জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি পুলিশ।

পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে ডাকেন টেম্পল মাউন্ট নামে।

১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর যখন ইসরাইল এই এলাকায় প্রবেশাধিকার পায় তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারত। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা।

সর্বশেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২১, ২০:৪৪
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও