সিলেটের বিশ্বনাথে পাসপোর্ট তদন্তে টাকার সঙ্গে দুধও নেন কর্মকর্তা। এমনই অভিযোগ উঠেছে বিশ্বনাথে কর্মরত ডিএসবির এসআই জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাসপোর্টধারীদের সঙ্গে দেখা করে প্রথমেই নানা হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো শুরু করেন। এটাই হলো তার টাকার এমাউন্ট বাড়ানোর মূল কৌশল।
তিনি প্রকাশ্যে যত্রতত্র বসে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেন। ভিডিওসহ টাকা নেয়ার অনেক প্রমাণও রয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ।
সম্প্রতি নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন সৈয়দপুর সদুরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. তাহির মিয়া। ওই পাসপোর্টটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই জাকিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার তাহির মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যায় তাহির মিয়া উপজেলা সদরে গেলেও দেখা করেননি এই তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুক্রবার বিকালে পৌর শহরের ভোজনঘর রেস্টুরেন্টে গিয়ে এসআই জাকিরুল ইসলামকে ফোন দেন তাহির মিয়া। তখন তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহিদ।
এ সময় এসআই জাকিরুল ইসলাম সেখানে গিয়ে তাহির মিয়ার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে সেখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র মুসলিম সুইট মিটে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তাহির মিয়ার কাছ থেকে নগদ ১০০০ টাকা ও দুই লিটার দুধ নেন।
তাহির মিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাসপোর্টের সব কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও নানা হুমকি ধমকি দিয়ে তার কাছ থেকে ১০০০ টাকা আর দুই লিটার দুধ নেন এসআই জাকিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহিদ জানান, এসআই জাকিরুল ইসলাম তাহির মিয়ার সঙ্গে চরমভাবে খারাপ আচরণ করেছেন। এ সময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের।
মোবাইল ফোনে এসআই জাকিরুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি সব কথা শোনার পর তার উত্তর জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বুঝেননি বলে ফোন কেটে দেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এএইচএম ফিরোজ আলী বলেন, এসআই জাকিরুল ইসলাম জনসম্মুখে প্রকাশ্যে টাকা দাবি করেন। তার ছেলে ও মেয়ের পাসপোর্ট তদন্তের জন্যও ১০০০ টাকা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি শামীম মূসা বলেন, তার এমন আচরণের বিষয় উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২১, ২২:২০
পাঠকের মন্তব্য