মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে হেফাজতের কর্মীরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের স্বাধীনতার সময় ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসতেই পারেন, এটা স্বাভাবিক। এতে কাদের গায়ে জ্বলে আমরা বুঝেছি।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ চেয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ মুজিব হত্যার বিচার হবে। ঠিকই আমরা করতে পেরেছি। জিয়া, খালেদা, নিজামী ও সাঈদীরও বিচার হয়েছে।
নানক বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালে সরকার পতনের জন্য বিডিআরদের হত্যা করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শাপলা চত্বর থেকে সরকার উৎখাত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল; কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আওয়ামী লীগের মফস্বলে পরীক্ষিত নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে দলকে পুনর্গঠিত করার আহবান জানান। কোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা চিন্তিত নই, মোকাবেলা করতে সর্বদা প্রস্তুত।
তিনি হেফাজত কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, যারা গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে পকেটে তসবির পরিবর্তে ইট ও পাথর নিয়েছিল তারা ইসলামের হেফাজতকারী হতে পারে না। তাদের আর মসজিদে ঢুকতে দেয়া হবে না।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
সর্বশেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২১, ০২:৪১
পাঠকের মন্তব্য