ইমিগ্রেশনে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান পি কের সঙ্গী শুভ্রা

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক :

বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের আরেক বান্ধবী শুভ্রা রানী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ২৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সোমবার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।  শুভ্রাকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।  তার স্বামীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া শুভ্রা রানী ওয়াকামা লিমিটেডের পরিচালক ও পিকে হালদারের দুর্নীতির সহযোগী।

দুদক জানিয়েছে, শুভ্রা রানী ঘোষ পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ ও ওয়াকামা লিমিটেড নামক একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।  প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সুব্রত দাস শুভ্রা রানীর স্বামী।  প্রতিষ্ঠানের নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ জালিয়াতি করে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি পিকে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।  শুভ্রা রানী কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে চেলে যান।  যদিও তিনি এবং তার স্বামীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদক থেকে পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়।  তবে তার আগেই তিনি বিদেশে পাড়ি জমান।  সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অতি গোপনে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে দেশে ফিরছিলেন শুভ্রা রানী ঘোষ।  দুদকের কাছে তথ্য ছিল তিনি আবার দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। সোমবার বিমানবন্দরে পৌঁছার পরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন টিম তাকে গ্রেফতার করে।  শুভ্রা রানীর স্বামী সুব্রত দাসসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য দুদকের অভিযান চলছে।  মামলা হওয়ার পর অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন।

দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, শুভ্রা রানী ও তার স্বামী সুব্রত দাস পিকের সঙ্গে মিলেমিশে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।  তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাদের সম্পদের বিষয়েও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

জানা যায়, শুভ্রা রানী ঘোষ ও সুব্রত দাস দম্পতি উত্তরার-১৩ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাড়িতে থাকেন। তাদের অস্থায়ী ঠিকানা যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে।

সর্বশেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১, ১৬:৫৪
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও