সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খসরু সম্পাদক কাজল

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আবদুল মতিন খসরু সভাপতি ও রুহুল কুদ্দুস কাজল সম্পাদক নির্বাচিত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আবদুল মতিন খসরু সভাপতি ও রুহুল কুদ্দুস কাজল সম্পাদক নির্বাচিত
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক :

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু। আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই সংগঠনের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি এবং একটি সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষসহ আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন সরকারদলীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থীরা। তারা এবারের নির্বাচনে সংগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। এদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল প্যানেল) সম্পাদক ও প্রার্থীরা ৬টি পদে বিজয়ী হয়েছেন। আর তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি শুক্রবার বিকেল থেকে ভোট গণনা শেষে রাত ১টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আহ্বায়ক সাবেক বিচারপতি এ এস এম আবদুর রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন।

সভাপতি পদে আবদুল মতিন খসরু ২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেলের মো. ফজলুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ১৩২ ভোট। সম্পাদক পদে নীল প্যানেল থেকে আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস ৩ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আবদুল আলিম মিয়া পেয়েছেন ২ হাজার ২০৪ ভোট। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৮৯১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

সহ-সভাপতির দুটি পদের একটিতে নীল প্যানেলের মো. জালাল উদ্দিন সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যটিতে ২ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সাদা প্যানেলের মুহাম্মদ শফিক উল্ল্যা। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. ইকবাল করিম। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব পেয়েছেন ২ হাজার ১৫১ ভোট। সহ-সম্পাদকের দুটি পদের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন নীল প্যানেলের মাহমুদ হাসান, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট। অন্যটিতে সাদা প্যানেলের সাফায়েত সুলতানা রুমা ২ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া সাতটি সদস্য পদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মাহফুজুর রহমান রোমান, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৮২৯ ভোট। দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ বি এম শিবলী সাদেকীন; তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৮০৭ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত পারভিন কাওসার মুন্নি , তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৮ ভোট। চতুর্থ হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মিন্টু কুমার মণ্ডল , তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫০৭ ভোট। এছাড়া পঞ্চম হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫০৫ ভোট। ষষ্ঠ হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত রেদওয়ান আহমেদ রানজিব, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৯ ভোট। সপ্তম হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুনতাসির আহমেদ, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৭ ভোট।

এবারের নির্বাচনে মোট সাত হাজার ৭২২ জন ভোটারের মধ্যে দুই দিনে পাঁচ হাজার ৪৮৬ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে ১৪ পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সাতটি সম্পাদকীয় পদ এবং সাতটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ রয়েছে। দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং প্রত্যাহার শেষে ৫০ জন চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাতটি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সভাপতি হিসেবে পাঁচজন, দুটি সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে ছয়জন, সম্পাদক পদে চারজন, কোষাধ্যক্ষ পদে চারজন এবং দুটি সহ-সম্পাদক পদের বিপরীতে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাকি সাতটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের জন্য ২৩ জন আইনজীবী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে থেকে ১৪ জন প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন আইনজীবীরা। এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য সাবেক বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের সাব-কমিটি গঠন করা হয়। তার নেতৃত্বে ভোট গণনা সম্পন্ন হওয়ার পরে ফল ঘোষণা হয়।

সর্বশেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১, ১১:৩৮
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও