মৌলভীবাজার ৮ নং কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের খুর্শেদ আলম মেম্বারের উপর শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ জড়িত আছেন চেয়ারম্যান, বলছেন খুর্শেদ আলম।
কর্মহীন দরিদ্র শ্রমজীবীদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করে সরকার। কাজ না করেই ভাতা উত্তোলন, অল্পসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ করে বেশি সংখ্যা দেখিয়ে টাকা তুলে নেয়াসহ দুর্নীতির মাধ্যমে দরিদ্রদের এ টাকা যাচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৮নং কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের পকেটে। ১মার্চ সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ৮নং কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের শ্রমিকরা। অভিযোগের বিষয় হলো মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৮নং কনকপুর ইউনিয়নে সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত হতদরিদ্রর টাকা আত্মসাৎ।
কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের শ্রমিক হায়দর আলী ,সাইদুল হক,তুহিন মিয়া,ইয়াছিন ,তাজ উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম খোকন সহ শ্রমিকরা বলেন আমাদের ৪০দিনের যে কাজ আসে সেই কাজ আমাদের দিয়ে না করিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারা বাহিরের শ্রমিক দিয়ে কাজ করায়, আর অগ্রণী ব্যাংকে আমাদের নিয়ে যায় আমাদের জবকার্ড দিয়ে তাদের টাকা উত্তোলন করে দেয়ার জন্য। কিছুদিন আগে ২নং ওয়ার্ডের মো:খুর্শেদ আলম মেম্বার রুহেল মিয়া ঠিকাদার দিয়ে ইসলামপুরের পশ্চিম হইতে কান্দি পর্যন্ত মোট ১২০০ ফুট রাস্তা মাটি ভরাটের কাজ করিয়েছেন এক্সরেভেটার গাড়ি দিয়ে ।
এখানে মোট ৫জন শ্রমিক লেগেছে আর আমরা ২৫জন তাদেরকে টাকা তুলে দিতে হয়। খুর্শেদ আলম মেম্বারের এই কাজের টাকা তুলে দিতে আমাদের ২৫জনকে অগ্রণী ব্যাংকে নিয়ে যায়। আমাদের মুরব্বি হায়দর আলী ব্যাংক কর্মকতার কাছে জানতে চায় আমাদের একাউন্টে কত টাকা আসছে। হঠাৎ ব্যাংক কর্মকতা উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করেন। এসময় খুর্শেদ আলম মেম্বার আমাদের ২৫ জনের জবকার্ড নিয়ে চলে যায় তার বাড়িতে।
খুর্শেদ আলম মেম্বার এর সাথে মোঠফোনে কথা হলে প্রতিবেদক জানতে চায় শ্রমিকদের অভিযোগ আপনি তাদের কাজের টাকা আত্মসাৎ করছেন? খুর্শেদ আলম মেম্বার বলেন তারা কাজ করেনি তাহলে তারা টাকা পাবে কিভাবে । প্রতিবেদক জানতে চায় কাজ না করলে তাদের কে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে কেনো নিয়ে গেলেন? খুর্শেদ আলম মেম্বার বলেন এই কাজে আমি একা জড়িত নয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান রেজাউর রহমান চৌধুরী সাহেবও জড়িত তিনি জানেন,তাছাড়া সারা বাংলাদেশও এরখম হচ্ছে। প্রতিবেদকের শেষ প্রশ্ন এখন কি শ্রমিকদের জবকার্ড বই পাবেনা? খুর্শেদ আলম মেম্বারের শেষ উত্তর আমার টাকা না তুলে তাদের বই কিভাবে দিবো,শ্রমিকরা চেয়ারম্যানের কাছে যাক।
এবিষয়ে ৮নং কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান চৌধুরীর সাথে মোঠফোনে কথা হলে তিনি জানান আমি জড়িত খুর্শেদ আলম কেন বলেছেন সেটা আমি জানিনা ,তবে বিষয়টি আমি শুনেছি শ্রমিকদের বলেছি আসার জন্য। তাদের লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন,এবিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন তারা কেনো আমাকে জড়িয়ে অভিযোগ দিয়েছে সেটা না বসলে বুঝাজাবেনা।
সর্বশেষ আপডেট: ৭ মার্চ ২০২১, ১৪:৫১
পাঠকের মন্তব্য