ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী কমলাপুর টিটিপাড়া সায়েদাবাদ গোপীবাগ সহ বিভিন্ন এলাকার বক্স কালভার্টের ময়লা ও বর্জ্য অপসারণ কাজ পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মেয়র তাপস।
এদিন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে যারা টাকা লেনদেন করেছেন তারাই দুর্নীতির অভিযোগ করছেন। এই অভিযোগ তার নিজের নয় বলেও জানান তাপস। সাবেক মেয়রের এমন বিষোদগার ব্যক্তিগত আক্রমণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বক্স কালভার্ট এর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কাজ বন্ধ ছিল এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে যেসব যন্ত্রপাতি তারা বুঝে পেয়েছেন সেগুলোর বেশিরভাগই অচল। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই নগরবাসী সুফল পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে রোববার (১০ জানুয়ারি) ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের’ কোনো বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়াটাও সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন যা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটার কোনো গুরুত্ব বহন করে না।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক মানববন্ধনে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। লিখিত বক্তব্যে সাঈদ খোকন বলেন, ‘দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। মেয়র তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব, রাঘব-বোয়ালদের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।’
সাবেক মেয়র আরও বলেন, ‘ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে হস্তান্তরিত করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসাবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। অপরদিকে অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
সর্বশেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারী ২০২১, ১৬:২৩
পাঠকের মন্তব্য