আবারও নির্মিত হলো বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের প্রমোশনাল ছবি ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’। এবারের বিষয় ‘ভিজিট বাংলাদেশ’। বিষয় জানা গেল চতুর্থ এ কিস্তির নির্মাতা গাজী শুভ্রর সঙ্গে আলাপে। তার ভাষায়, এতে নৈসর্গিক বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানানোর বার্তা থাকবে।
ভিজিট বাংলাদেশ। ছবি: সংগ্রহ।সাড়ে তিন মিনিটের এই ভিডিওচিত্রে দেখানো হবে বাংলাদেশের ৫৫টি স্থান। দেশের প্রায় সবগুলো জেলাতেই এটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। তবে এবারের প্রামাণ্যচিত্রে থাকছে না বিশেষ কোনও মডেল। যেমনটা ছিল ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ এর প্রথম কিস্তিতে।
গাজী শুভ্র বলেন, ‘এবার শুধু স্থান নয়, এতে উঠে এসেছে আমার সংস্কৃতি, ধর্ম, আমাদের সরলতা, হাসি ইত্যাদি। যা দিয়ে আমাদের মানুষদের সহজেই চেনা যায়। ভিডিওটির জন্য এবারও আমরা বাংলাদেশের দুর্গম স্থানে গিয়েছি। এতে যেমন সুন্দরবন আছে তেমনি সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়া হাওর, বান্দবানের নাফাকুমের মতো জায়গাও আছে। আবার বন্যপ্রাণিও স্থান পেয়েছে এবারের ছবিতে। মোটকথা এবারের ভিডিওটির মাধ্যমে বিদেশিদের সামনে অনন্য এক বাংলাদেশকে তুলে ধরার প্রাণান্ত প্রয়াস ছিল আমাদের।’
গাজী শুভ্রপ্রায় তিন মাস ধরে এর দৃশ্যায়নের কাজ চলেছে। কেন এত সময় নিয়ে কাজ হয়েছে সে প্রসঙ্গও উঠে আসল শুভ্রর মুখে।
তিনি বললেন, ‘এমন হয়েছে আমরা শুধু নাফাকুমের একটি দৃশ্য নেব। কিন্তু এটি নিতে আমাদের যেতে হয়েছে জেলাটির শেষ থানা থানচিতে। এরপর নৌকা করে রিমাক্কি যেতে হয়েছে। এ অঞ্চলে নৌকা চলে পাথর আর পানির উপর দিয়ে। সেখান থেকে নাফাকুম যেতে আমাদের যেতে হয়েছে হেঁটে। এটির দুরুত্ব ২০ কিলোমিটার। কারণ এখানে কোনও যান চলার সুযোগ নেই। এতটা পরিশ্রমের কারণ শুধু একটা দৃশ্য নেওয়া। সঙ্গে মজার কিছু জিনিসও পাবে দর্শকরা।’
জানালেন, নতুন এই ‘বিউটিফুল বাংলাদেশে’র দৃশ্যধারণ একেবারে শেষ। এখন চলছে এর সম্পাদনার কাজ। প্রথমবার অদিতি করলেও এবার আবহ সংগীত কে করবেন তা এখনও চূড়ান্ত নয়। এটি নির্মাণ ও সম্পাদনা হচ্ছে রেট ডট এর ব্যানারে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ২৩:৪১