ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কখনোই বিদেশ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা প্রেরণ এবং তা দেশের ভেতর বিতরণের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘ইসলামী ব্যাংকে ২ হাজার কোটি টাকার রহস্যময় তহবিলের সন্ধান’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২ জানুয়ারি) ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের সর্বসাকুল্যে লেনদেন ছিল ২০৯ কোটি টাকা। সেখানে অফশোর ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা প্রেরণ ও দেশে বিতরণের ঘটনাটির কোন সত্যতা নেই।
সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে লেনদেনের তথ্য দেয়া হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এ রকম কোন লেনদেন আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি। ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের কার্যক্রম অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে সম্পাদিত হয়। ২০১৩ সালে ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের সর্বসাকুল্যে লেনদেন ছিলো ২০৯ কোটি টাকা। তাই আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা প্রেরণ ও দেশে বিতরণের ঘটনাটির কোন সত্যতা নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি লেনদেন মাসিক বিবরণীর মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংককে রিপোর্ট করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক/বিএফআইইউ সহ সকল রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। আজ অবধি এমন কোন সন্দেহজনক লেনদেন এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং ঘটেনি। জাতীয় স্বার্থরক্ষায় বরাবরের মতোই গণমাধ্যমের নিকট দায়িত্বশীল ও আন্তরিক ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
সর্বশেষ আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৩৮
পাঠকের মন্তব্য