মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়নে মনোনিবেশে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় মোদি বলেন, সরকার দেশের মুসলিম নারীদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের দিকে মনোনিবেশ করছে।
৫৬ বছর পর দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন নরেন্দ্র মোদি। ১৯৬৪ সালে শেষবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী।
এদিন মোদি বলেন, ‘টয়লেট না থাকার কারণে মুসলিম নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে যাওয়ার হার ছিল ৭০ শতাংশের বেশি। এখন সরকার স্কুলগামী মেয়েদের জন্য আলাদা উন্নত টয়লেট তৈরি করেছে। ফলে মুসলিম নারীদের স্কুল ছাড়ার হার কমেছে ৩০ শতাংশ।’
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়নে বিশেষ জোর দিচ্ছে ভারত সরকার। আপনারা যদি দেখেন, সরকার গেল ছয় বছরে প্রায় ১ কোটি মুসলিম নারীকে বৃত্তি দিয়েছে। লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য হওয়া উচিত নয়, প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে এবং সবারই দেশের উন্নয়নের সুবিধা পাওয়া উচিত।’
তিনি দাবি করেন, ‘ভারতে ধর্মের কোনো বিভেদ নেই। ধর্মের নামে এদেশে কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। বলেন, ‘ধর্ম সমাজের একটি অংশ। এই দেশের উন্নতিতে অশুভ শক্তি বাধা দিচ্ছে। কিন্তু বরাবরই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ করেছে। আমাদের সরকার তিন তালাক প্রথা বাতিল করে সেই আধুনিক মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আরো বলেন, ‘ভারতের দিকে এখন সারা বিশ্ব চেয়ে রয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে ধর্মের বিভেদ ভুলে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে হবে। ভারতের সৌন্দর্য ও ব্যাপ্তি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তুলে ধরাটাই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব। সেই সঙ্গে নিজেদের সম্মান বাড়াতে হবে।’
সূত্র : সময় টেলিভিশন
সর্বশেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:১২
পাঠকের মন্তব্য