যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করছে অনেক দেশ।
এছাড়া ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে ক্রিসমাসে মানুষের মেলামেশায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ এবং যুক্তরাজ্যের সাথে অন্য দেশগুলোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আসছে। ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে নতুন এই ‘স্ট্রেইন’ করোনা ভ্যাকসিনের জন্য হুমকি বা আরও মারাত্মক কোনো রোগের কারণ হতে পারে কিনা।
নেদারল্যান্ডসের পর এবার বেলজিয়াম, ইতালি, জার্মানি এবং ফ্রান্সও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের আরও সংক্রামক একটি ধরণ শনাক্ত হওয়ায় ইউরোপের এই দেশগুলো এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বেলজিয়াম ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষনা করেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। এদিকে ফ্লাইট বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফ্রান্স ও জার্মানিও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, নতুন ধরণটি আরও প্রাণঘাতী বা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অন্যভাবে প্রতিক্রিয়া করে এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি। তবে এটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা। যুক্তরাজ্যের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেদারল্যান্ডস ব্রিটিশ ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয়। নতুন এই কোভিড-১৯ ভাইরাস নেদারল্যান্ডসেও শনাক্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডাচ সরকার।
গত রোববার মধ্যরাত থেকে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট ও ট্রেইন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডে ক্রু রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা অন্তত ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আরও পদক্ষেপ নিতে হবে কিনা তা আমরা দেখব।’ জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তাদের সরকারও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরণ পাওয়া যাওয়ায় সেখানকার ফ্লাইটও বন্ধ করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম বিএফএমটিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ফরাসি সরকারও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট ও ট্রেন বন্ধের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এক দিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলে জানায় চ্যানেলটি।
ভাইরাস প্রতিনিয়ত নিজেই পরিবর্তন হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন রূপ ধারণ করতে থাকে যাকে বলা হয় ‘মিউটেশন’। এই মিউটেশনের মধ্য দিয়ে ভাইরাস যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, তেমনি অনেক সময় এর শক্তি হ্রাসও পায়। নতুন রুপ নিয়ে মানুষের মাঝে দ্রুত বা সহজে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস যা ওষুধ বা ভ্যাকসিনের মতো প্রতিরোধক ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বেশকিছু স্থানে করোনাভাইরাসের নতুন এক ‘স্ট্রেইনের’ সন্ধান পাওয়া গেছে। এ কারণে শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে সংক্রমণ রোধে যুক্তরাজ্য থেকে সকল ফ্লাইট বাতিল বা সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ এবং কানাডা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই স্ট্রেইন যে আগের চেয়ে সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে, গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে বা ভ্যাকসিনকে মোকাবিলা করতে পারে - এমন সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভাল্যান্স বলেছেন, ‘নতুন এই স্ট্রেইনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভয়ঙ্কর রূপে পরিণত হচ্ছে, যার কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে লন্ডনে শনাক্ত হওয়া ৬০ শতাংশের বেশি রোগী আক্রান্ত হবে করোনার নতুন এই স্ট্রেইনে।’
নতুন স্ট্রেইনটি আরও বেশি উদ্বেগের কারণ এটিতে প্রায় দুই ডজন মিউটেশন রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে আবার বেশ কয়েকটিতে শক্তিশালী প্রোটিন রয়েছে যা মানবকোষে সংযুক্ত এবং সংক্রমিত হতে ভাইরাস ব্যবহার করে থাকে।
ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. রবি গুপ্ত বলেন, ‘আমি অবশ্যই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন।’ তিনি এবং অন্যান্য গবেষকরা একটি ওয়েবসাইটে (যেখানে বিজ্ঞানীরা তাদের বিভিন্ন উদ্ভাবন বা বিশ্লেষণ প্রকাশ করেন) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তবে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি বা কোনো জার্নালে প্রকাশিত হয়নি।
মূলত তিনটি কারণে এই ভাইরাসের নতুন রূপটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন স্ট্রেইনটি এর আগের মিউটেশনগুলোকে দ্রুত প্রতিস্থাপন করছে এবং এর মাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমিত হওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে বড় উদ্বেগের মধ্যেও আশার বাণী দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে যেসব ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হচ্ছে সেগুলো মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন আবির্ভূত এই ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে।
সেপ্টেম্বরে প্রথম ভাইরাসের এই নতুন ধরণটি শনাক্ত করা হয়। নভেম্বরের দিকে লন্ডনে আক্রান্তদের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ ছিল নতুন বৈশিষ্ট্যের এই ভাইরাসের শিকার। আর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটি দুই-তৃতীয়াংশে পৌছায়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এ বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসটি ৭০ শতাংশ বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, এটা হয়তো ‘আর নাম্বার’ বাড়িয়ে দিচ্ছে - এটার মাধ্যমে বোঝা যায় যে, মহামারি কি আসলে ছড়িয়ে পড়ছে না-কি কমছে। এটা হিসাব করা হয় ০ থেকে ৪ এর মধ্যে। ৭০ শতাংশ বেশি হারে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উঠে আসে শুক্রবার ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ড. এরিক ভলজ-এর একটি উপস্থাপনায়। তিনি বলেন, ‘এটা এখনই বলা খুব কঠিন … কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, সেটি হচ্ছে যে এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, ভাইরাসটির অন্য যে কোন বৈশিষ্ট্যের তুলনায় এটি ছড়িয়ে পড়ছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এর উপর নজর রাখতে হবে।’
তবে নতুন এই স্ট্রেইনটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তার কোন নির্দিষ্ট হিসেব নেই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা তাকে জানিয়েছেন যে, এটি ছড়িয়ে পড়ার হার ৭০ শতাংশের কম বা বেশি হতে পারে। ‘এখনও পর্যন্ত যে তথ্য জানা যাচ্ছে সেগুলো পর্যাপ্ত নয় এবং এগুলো অনুযায়ী কোন দৃঢ় মতে পৌঁছানোও সম্ভব নয় যে ভাইরাসটি আসলেই বিশালভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে,’ বলছেন ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক জোনাথন বল। সধারণা করা হচ্ছে, ভাইরাসের এ স্ট্রেইনটি যুক্তরাজ্যেই কোনো একজন রোগীর দেহে আর্বিভূত হয়েছে কিংবা এমন একটি দেশ থেকে এসেছে যেখানে ভাইরাসটিকে পর্যবেক্ষণ করার মতো তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। এটি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে, শুধু উত্তর আয়ারল্যান্ড ছাড়া। কিন্তু এটি মূলত রাজধানী লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব ইংল্যান্ডেই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। অন্য এলাকাগুলোতে খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে না।
ভাইরাসটির জেনেটিক কোড নিয়ে কাজ করা নেক্সটস্ট্রেইন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, ডেনমার্ক এবং অস্ট্রেলিয়াতে যে ভাইরাসের স্ট্রেইনটি পাওয়া গেছে তা যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে। নেদারল্যান্ডেও নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, চীনের উহানে যে ভাইরাসটি প্রথমে শনাক্ত করা হয়েছিল, সেটির সাথে বিশ্বের অন্যান্য স্থানে থাকা ভাইরাসের কোনো মিল নেই। ৬১৪এ নামে ভাইরাসটি গত ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপে ধরা পরে এবং এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি এই বৈশিষ্ট্যের।
ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের অধ্যাপক রাভি গুপ্তার গবেষণায় তিনি বলেছেন যে ল্যাবে পরীক্ষার ফলাফল বলছে, এই পরিবর্তন সংক্রমণের হার দুই গুণ বাড়িয়ে দেয়। এই দলের আরেকটি গবেষণা বলছে, এই পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর যারা সেরে ওঠেন তাদের রক্তে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার ভাইরাসটিকে আক্রমণ করার ক্ষমতা কমে যায়।
এর সবচেয়ে ভাল ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, ভাইরাসটি এমন কোনো রোগীর দেহে তৈরি হয়েছে, যার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে একদমই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এর পরিবর্তে ওই রোগীর দেহ ভাইরাসটির পরিবর্তনের উর্বরক্ষেত্র হিসেবে কাজ করেছে।
এখনো পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি সংক্রমণকে আরো বেশি প্রাণঘাতী বা মারাত্মক করে। তবে এটি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তবে বেশি হারে সংক্রমণ করতে থাকলেও তা হাসপাতালগুলোর জন্য সমস্যা সৃষ্টির কারণ হবে। কারণ নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসের মানে যদি হয় যে আরও বেশি মানুষের আরও দ্রুত আক্রান্ত হওয়া, তাহলে তার মানে হলো আরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে সেবা দিতে হবে।
এখন পর্যন্ত যে তিনটি ভ্যাকসিন এসেছে, তাদের সবগুলোই বর্তমানে থাকা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আর এ কারণেই এই প্রশ্নটি সামনে এসেছে। ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভাইরাসের বিভিন্ন অংশকে আক্রমণ করতে উদ্দীপ্ত করে। আর তাই এর কিছু অংশ যদি পরিবর্তিত হয়েও থাকে, তারপরও ভ্যাকসিনটির ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কাজ করার কথা। ‘কিন্তু যদি আরো বেশি পরিবর্তন বা বিভাজন ঘটতে দেয়া হয়, তাহলে তখন দুঃশ্চিন্তা করতেই হবে,’ বলেন অধ্যাপক গুপ্তা। তিনি বলেন, ‘ভাইরাসটি এমন একটি পথে রয়েছে, যেখানে হয়তো সে ভ্যাকসিন এড়িয়ে যেতে পারে। আর সেদিকেই কয়েক কদম এগিয়েছে ভাইরাসটি।’ ভ্যাকসিন এড়ানোর মানে হচ্ছে, ভাইরাসটি পরিবর্তিত হচ্ছে, যার কারণে ভ্যাকসিন পুরোপুরি কার্যকর হয় না এবং ভাইরাসটি তখন মানুষকে সংক্রমিত করা অব্যাহত রাখে। আর এখন ভাইরাসটি যে অবস্থায় আছে তাতে এই বিষয়টিই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভাইরাসটির নতুন বৈশিষ্ট্য এটা জানান দিচ্ছে যে, এটি যতই মানুষকে আক্রান্ত করছে, ততই খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোর অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন শুক্রবার এক উপস্থাপনায় উপসংহার টানেন এই বলে, ‘এই ভাইরাসটি সম্ভবত নিজেকে এমনভাবে পরিবর্তন করবে, যাতে সে ভ্যাকসিন এড়াতে পারে।’ এটা আমাদেরকে অনেকটা ফ্লু’র বিরুদ্ধে যদ্ধের জায়গাটিতে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিনের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সৌভাগ্যবশত বর্তমানে যেসব ভ্যাকসিন রয়েছে, সেগুলোতে সহজেই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সর্বশেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:২৪
পাঠকের মন্তব্য