পবিত্র কাবা ঘরের দরজার নকশাকারের ইন্তেকাল

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক :

পবিত্র কাবা ঘরে স্থাপিত দরজার নকশাকার প্রকৌশলি মুনির আল জুনদি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জার্মানের একটি হাসাপতালে ভর্তি অবস্থায় গত শনিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর আল আরাবিয়ার।

মুনির আল জুনদি পেশায় একজন প্রকৌশলী। ২৮০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে কাবা ঘরের দরজাটি নির্মাণ করেন তিনি। নকশাকার হিসেবে পবিত্র কাবার দরজার ওপর তাঁর নাম লেখা আছে।

১৩৯৭ হিজরি বা ১৯৭০ সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ পবিত্র কাবা ঘরে নামাজ আদায়ের পর কাবা ঘরের জন্য খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে একটি দরজা নির্মাণ করতে বলেন।

ওই সময়ে সৌদি সরকারের নির্দেশনা মতে নকশার কাজ অবশ্যই কোনো মুসলিম প্রকৌশলিকে করতে হবে, যেন তার নাম দরজা লিখে রাখা যায়। অবশেষে দরজা নকশার জন্য প্রকৌশলি মুনির আল জুনদিকে নির্বাচন করা হয়। অতঃপর মক্কার ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণাকার মাহমুদ বদরের কারখানায় কাজ শুরু হয়।

দেশটির ইতিহাস বিশেষজ্ঞ মানসুর আল আসসাফ এক টুইট বার্তায় জানান, সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ পবিত্র কাবার দরজা নির্মাণের দায়িত্ব মক্কার আলে বদর পরিবারের ওপর অর্পণ করেন। আর ওই দরজার নির্মাণ শেষ করতে প্রায় দেড় বছর সময় লাগে।

তিনি আরও জানান, এরপর ১৩৯৮ হিজরিতে বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে পুনরায় দরজা নির্মাণ করার জন্য আহমদ বিন বদরকে নির্দেশ দেন। ওই সময় দরজাটির নকশা করেন প্রকৌশলী মুনির। আর দরজার লেখাগুলো শেখ আবদুল রহিম বুখারি তৈরি করেছিলেন।

দরজার দৈর্ঘ্য তিন মিটার ও প্রস্থ দুই মিটার এবং প্রায় অর্ধ মিটার পুরু। থাইল্যান্ডের ম্যাকা কাঠ দিয়ে দরজাটি তৈরি করা হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কাঠ বলেও উল্লেখ করেন মানসুর।

মুনির আল জুনদি সিরিয়ার হেমস শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

সর্বশেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৫৩
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও