করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি আরেক দফা বেড়েছে। আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে কওমি মাদ্রাসাগুলো এই ছুটির আওতায় পড়বে না। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি চলমান আছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়েছে সরকার। সর্বশেষ ঘোষণায় আজ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি কার্যকর ছিল। এর ফলে একটানা ১০ মাস বন্ধই থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে পদোন্নতি, ভর্তি, নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম। ইতোমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি ঘোষণা করেছেন, মহামারী পরিস্থিতির কারণে এবার ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে না। তবে ওইদিন প্রধানমন্ত্রী পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্বোধন করবেন। মধ্য জানুয়ারির দিকে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বার্ষিক পরীক্ষা না হওয়ায় এবার শিক্ষার্থীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরের শ্রেণিতে পদোন্নতি পাবেন। এ ক্ষেত্রে আগের শ্রেণির রোল নম্বরই তারা পাবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। শূন্য আসনে ভর্তি করতে হবে লটারির মাধ্যমে। আর আবেদন নিতে হবে অনলাইনে। ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত অঙ্কে ফি নিতে হবে। আর যেসব খাতের ফি নিতে বারণ করা হয়েছে সেগুলো নেয়া যাবে না।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সরকার নির্দেশিত নীতি সবাইকে প্রতিপালন করতে হবে। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোনো প্রতিষ্ঠান ফি আদায় করলে এবং এ ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:৪৫
পাঠকের মন্তব্য