ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউের কাছ থেকে অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন ”কোভিডশিল্ড” পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকা এ তথ্য জানিয়েছেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিষেধক তৈরি করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca)।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, নভেম্বরের ৫ তারিখে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ভারত তিন কোটি ভ্যাকসিন দিবে বাংলাদেশকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বলছে, তারা জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ভারত থেকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আশা করছেন, যদি সেটি সম্ভব না হয় তবে এটি ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হওয়ার আগেই পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান বলেন, “ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট [এসআইআই] অনুসারে আমরা সর্বোচ্চ জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “তারা যখন ভ্যাকসিন বিপণনের অনুমোদন পাবে, তখনই বাংলাদেশ সেটি সংগ্রহ করবে।”
বাংলাদেশ সরকার, সিরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিডেটের মধ্যে সাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকার তিন কোটি ডোজ ক্রয় করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, “এই ভ্যাকসিনটি তৈরি হওয়ার পরে, সিরাম ইনস্টিটিউট প্রথম পর্যায়ে ৩ কোটি ডোজ সরবরাহ করবে এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এটি বাংলাদেশে আনবে।”
টিকার পর্যায় ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রামণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তাদের মাঝে রয়েছেন মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা কর্মী এবং গণপরিবহন কর্মী।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, “সরকারের কেনা ভ্যাকসিন মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে কারা আগে পাবে তা ঠিক করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ের জন্য অর্থমন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৪০
পাঠকের মন্তব্য