চীনে করোনাভাইরাস মহামারি হানা দেবার এক বছর পর চীনের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যদিও এই অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সরকারের নেয়া ঋণ এবং চীনা ধনীদের ব্যয় করা বিপুল পরিমাণ অর্থ। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে চীনের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ার পর এক বছর কেটে গেছে। দ্বিতীয় বছরে পড়েছে চীন।
চীনে করোনাভাইরসে আক্রান্তের সরকারি হিসাব নিয়ে প্রথমদিকে ব্যাপক সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা যাই হোক, চীন দ্রুত এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটির কোন কোন অঞ্চলে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা ও গণহারে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। চীনের মতো এতো ব্যাপকমাত্রায় পরীক্ষা পৃথিবীর আর কোন দেশে চালানো হয়নি।
ট্র্যাকিং ও ট্রেসিং বা আক্রান্তদের চিহ্ণিত করে তাদের এবং কারা তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছে সেটা খুঁজে বের করাই চীনের সাফল্যের বড় চাবিকাঠি। আর এর মাধ্যমেই চীনের অর্থনীতির দ্রুত পুনরুজ্জীবন ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু বড় কথা হলো চীনের সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে দেশটিতে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হয়েছে দ্রুতগতিতে।
অনেকে এটাকে দৃঢ় হাতে পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষণ হিসাবে দেখছেন। অনেক পর্যবেক্ষক আবার বলছেন অর্থনীতি সবক্ষেত্রে সমানভাবে সচল হয়নি।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল পেট্টিস বলেছেন, চীনের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন অনেকটা একপেশে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রায় পুরোটাই সরবরাহের ক্ষেত্রে- উৎপাদনের ক্ষেত্রে। কিন্তু অর্থনীতির চাহিদার দিকে সেভাবে উন্নতি দেখা যায়নি।
তিনি বলছেন, চীন সরকার অবকাঠামো বা শিল্প উৎপাদন চালু রাখতে প্রথমেই ঋণের অর্থ জুগিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর যে কৌশল নিয়েছে সেটাই এই ভারসাম্যহীনতার একটা কারণ।
অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যাপক পেট্টিস মনে করছেন এর ফলে উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাজারে কেনার মত খদ্দের তুলনামূলকভাবে কম। যারা অর্থ ব্যয় করতে শুরু করেছেন তারা কিনছেন নতুন গাড়ি বা তারা বিমান ভ্রমণের দিকে ঝুঁকছেন।
পিকিং ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পেট্টিস মনে করেন চীনে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হয়েছে একপেশে ভাবে।
তবে এটা খুবই স্পষ্ট যে ভাইরাস মহামারির আগে চীনে যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবেশ ছিল, সেটা মানুষ আবার অনেকাংশে ফিরে পেয়েছে।
অর্থনীতি এতটাই স্থিতিশীল হয়েছে বলে সরকার মনে করছে যে তারা তাদের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। এই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির আর্থসামাজিক কৌশলের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটাও স্পষ্ট যে ২০২০ সালে চীনই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র বড় অর্থনীতির দেশ যাদের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে দেখা যাবে।
মহামারির পর যেভাবে ঘুরে দাঁড়ালো চীনের অর্থনীতি
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: চীনে করোনাভাইরাস মহামারি হানা দেবার এক বছর পর চীনের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যদিও এই অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সরকারের নেয়া ঋণ এবং চীনা ধনীদের ব্যয় করা বিপুল পরিমাণ অর্থ। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে চীনের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ার পর এক বছর কেটে গেছে। দ্বিতীয় বছরে পড়েছে চীন।
চীনে করোনাভাইরসে আক্রান্তের সরকারি হিসাব নিয়ে প্রথমদিকে ব্যাপক সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা যাই হোক, চীন দ্রুত এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটির কোন কোন অঞ্চলে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা ও গণহারে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। চীনের মতো এতো ব্যাপকমাত্রায় পরীক্ষা পৃথিবীর আর কোন দেশে চালানো হয়নি।
ট্র্যাকিং ও ট্রেসিং বা আক্রান্তদের চিহ্ণিত করে তাদের এবং কারা তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছে সেটা খুঁজে বের করাই চীনের সাফল্যের বড় চাবিকাঠি। আর এর মাধ্যমেই চীনের অর্থনীতির দ্রুত পুনরুজ্জীবন ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু বড় কথা হলো চীনের সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে দেশটিতে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হয়েছে দ্রুতগতিতে।
অনেকে এটাকে দৃঢ় হাতে পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষণ হিসাবে দেখছেন। অনেক পর্যবেক্ষক আবার বলছেন অর্থনীতি সবক্ষেত্রে সমানভাবে সচল হয়নি।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল পেট্টিস বলেছেন, চীনের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন অনেকটা একপেশে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রায় পুরোটাই সরবরাহের ক্ষেত্রে- উৎপাদনের ক্ষেত্রে। কিন্তু অর্থনীতির চাহিদার দিকে সেভাবে উন্নতি দেখা যায়নি।
তিনি বলছেন, চীন সরকার অবকাঠামো বা শিল্প উৎপাদন চালু রাখতে প্রথমেই ঋণের অর্থ জুগিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর যে কৌশল নিয়েছে সেটাই এই ভারসাম্যহীনতার একটা কারণ।
অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যাপক পেট্টিস মনে করছেন এর ফলে উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাজারে কেনার মত খদ্দের তুলনামূলকভাবে কম। যারা অর্থ ব্যয় করতে শুরু করেছেন তারা কিনছেন নতুন গাড়ি বা তারা বিমান ভ্রমণের দিকে ঝুঁকছেন।
পিকিং ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পেট্টিস মনে করেন চীনে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হয়েছে একপেশে ভাবে।
তবে এটা খুবই স্পষ্ট যে ভাইরাস মহামারির আগে চীনে যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবেশ ছিল, সেটা মানুষ আবার অনেকাংশে ফিরে পেয়েছে।
অর্থনীতি এতটাই স্থিতিশীল হয়েছে বলে সরকার মনে করছে যে তারা তাদের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। এই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির আর্থসামাজিক কৌশলের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটাও স্পষ্ট যে ২০২০ সালে চীনই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র বড় অর্থনীতির দেশ যাদের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে দেখা যাবে।সূত্র:বিবিসি বাংলা
সর্বশেষ আপডেট: ৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:২১
পাঠকের মন্তব্য