যুক্তরাজ্যের ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ থেকে ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি) পাউন্ড ব্যাংকনোট উধাও হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নোটগুলো পাচার হয়ে গেছে। বিপুল পরিমাণ এই অর্থের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে ব্যাংকটি। হিসাব থেকে হারিয়ে যাওয়া এই অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা।
শুক্রবার দেশটির একদল আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, হারিয়ে যাওয়া টাকার খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ব্যাংকনোট নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
এ বিষয়ে বিট্রিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে প্রথম যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই বিপুল অর্থ হারানোর বিষয়টি নজরে আনে দেশটির ন্যাশনাল অডিট অফিস। হিসাব থেকে হারিয়ে যাওয়া এই ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড দেশটির মোট ব্যাংক নোটের তিন ভাগের এক ভাগ। সঠিক পথে এই অর্থের কোনো স্থানান্তর বা লেনদেন হয়নি, এমনকি কোথাও সঞ্চয়ও করা হয়নি।
সরকারের হিসাব কমিটি বলছে, এই অর্থের খোঁজে ব্যাংকটিকে অবশ্যই আরও যত্নবান হতে হবে। কারণ বিপুল অঙ্কের এই অর্থ অবৈধ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার হতে পারে; যার দায় সরকারের নীতি ও সরকারের কোষাগার এড়াতে পারবে না।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, ‘জনসাধারণ কেন নগদ ব্যাংকনোট কাছে রাখতে চান সেটা নিশ্চয়ই ব্যাংককে ব্যাখ্যা করতে হবে না। এর অর্থ এই নয় যে, নোটগুলো হারিয়ে গেছে।’
তিনি জানান, ব্যাংকের দায়িত্ব সরকারের চাহিদা মতো অর্থ সরবরাহ করা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং করে যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ হারানোর মতো ভুক্তভোগী দেশ শুধু যুক্তরাজ্যই নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশই এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:৩১
পাঠকের মন্তব্য